Friday 29th of March 2024
|
|
|
Headlines : * 16 new Covid cases reported in country   * Japan to provide 2,294 m Japanese Yen to Bangladesh; deals signed   * BNP wants to nullify meaning of independence: Obaidul Quader   * Rain with temporary gusty wind likely over Country   * 3 die as bus hits auto-rickshaw in M`sing   * 15 ferries, 20 launches to ply on Daulatdia-Paturia route during Eid   * Six houses gutted in Rangamati fire   * Baltimore divers recover 2 bodies from harbor after bridge collapse   * Bangladeshi youth shot dead by police in US   * Govt to import 50,000 metric tons of onion from India  

   National
১০ বছরে হোঁচট খাইনি
  Date : 29-03-2024

ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রেখেছি। এই ১০ বছরে হোঁচট খাইনি কিংবা পিছিয়ে যাইনি, আবার হঠাৎ করে লাফও দিইনি। খুব স্থিরভাবে ধাপে ধাপে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা সরকার গঠন করে যে জায়গাটাতে নিয়ে আসতে পেরেছি সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল আমাদের দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন। যে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। তার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে শক্তিশালী করে জনমত সৃষ্টি করা। গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল মাল আবদুল মুহিত, এইচটি ইমাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, পীযূষ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, ইকবাল হোসেন অপু, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের একটা লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি।

কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে স্বীকৃতি পেয়েছি সেটাকে আমাদের ধরে রাখা প্রয়োজন। এজন্য রাজনৈতিক শক্তিটা খুব বেশি প্রয়োজন, সংগঠন প্রয়োজন, জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। আমি মনে করি, ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর এ পর্যন্ত যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং আজকে বাংলাদেশে আমরা সরকার গঠন করে যে জায়গাটাতে নিয়ে আসতে পেরেছি সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল আমাদের দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন এবং অবশ্যই মহান আল্লাহর একটা রহমত ছিল। তিনি বলেন, সরকারে আসলে কি করব সবকিছু আমাদের একটা খসড়া তৈরি করা ছিল বলেই কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর কাজগুলো করতে পেরেছি। আজকে আমরা যেখানে এসেছি সেখান থেকে দেশকে আগামী দিনে কোথায় নিয়ে যাব? কতটুকু করব, সে পরিকল্পনাও আমাদের আছে। সেটা আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি। সেই প্রস্তুতিটাও আমাদের নিতে হবে। সেই পথগুলো আমাদের ধাপে ধাপে অতিক্রম করতে হবে। তার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে যেমন শক্তিশালী করা, জনমত সৃষ্টি করার পাশাপাশি আমাদের চিন্তা-চেতনাগুলোকে সমন্বিত করে প্রতি পদক্ষেপে যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যেতে পারি। আমাদের চলার পথে যত বাধাই আসুক অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। চলমান অতিবৃষ্টিসহ দেশের জনগণের কল্যাণে সবকিছুর দিকে সরকারের পক্ষ থেকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও নেতাকর্মীদের আরো সজাগ ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি শাসনামলে বন্যায় মানুষ নিহতের ঘটনা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু মানুষকে অবহেলা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করি না। আমরা মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো আর মানুষের কল্যাণে এবং উন্নয়নে কাজ করা- এই নীতি নিয়ে কাজ করি বলেই আজকে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা এটাই চাই। আমাদের এই রাজনৈতিক দল যে দল এ দেশের জনগণের কথা বলার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছিল, যে দলটিকে সুসংগঠিত করে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাব। মানুষের জীবন-মান উন্নত হবে, এই বাংলাদেশে একটি মানুষও দরিদ্র থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না, অশিক্ষার অন্ধকারে থাকবে না। দেশটা হবে সার্বিকভাবে একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। হ্যাঁ, আমরা খুব বড় বড় উন্নত দেশের মত উন্নয়ন হয়তো করতে পারব না। কিন্তু প্রতিটি মানুষই তার জীবনটাকে অর্থবহ করবে, দারিদ্র্যের হাত থেকে তারা মুক্তি পাবে, তারা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে। তাদের জীবনের যে লক্ষ্য তা পূরণ করতে পারে অন্তত সেইভাবে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা, জনমত সৃষ্টি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এজন্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাই, কিছু লোক সব সময় এটাকে ভিন্ন চোখে দেখে। এরা আসলে কখনো গণতান্ত্রিক ধারাটা চায় না। তাদের কাছে মনে হয় যেন অস্বাভাবিক কিছু হলে তাদের খুব দাম বাড়ে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা হচ্ছে, কোথাও নদী ভাঙন হতে পারে বা পাহাড়ে ধস নামতে পারে। সারা দেশে কোথায় কী ঘটছে খবর নিচ্ছি। এবং সেখানে যার যা দায়িত্ব সেটা দেয়া আছে। এখানে এতটুকু শৈথিল্য নেই। কারণ তাদের সব কাজ আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ দিয়ে জানাতে হয়। ১৫ই আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমার তো মনে হয়, স্বাধীনতার ৫/৬ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বে তথা সাউথ এশিয়া বা সাউথ ইস্ট এশিয়ার মধ্যে একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জায়গাটাই বাধাগ্রস্ত করা হলো। জাতির পিতার এই হত্যার পিছনে যারা ছিল পরবর্তীতে আমরা দেখেছি আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার চিন্তাভাবনা লক্ষ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাসকে নস্যাৎ করে দিয়ে একেবারে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। উন্নয়নের ধারাটাকেও ব্যাহত করা হয়।

উদ্দেশ্যটাই ছিল এরকম, বাংলাদেশ একটা স্বাবলম্বী রাষ্ট্র হিসেবে যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলকে সংগঠিত করে বিভিন্ন মেয়াদে সরকার গঠনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছি আজকে ২০১৯ পর্যন্ত এই দশকের মধ্যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে একটা উন্নয়নের রোল মডেল, বাঙালি জাতি একটা সম্মান পেয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি, উপদেষ্টারা আমাদের একটা থিঙ্কট্যাঙ্ক। আমি এইটুকু চাইব, সকলকে আরেকটু সক্রিয় হতে হবে। আমাদের অফিসের সব ব্যবস্থা করা রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটা বিষয়ে উপকমিটিও করা আছে। আপনারা সেখানে বসেন, মিটিং করেন। সেগুলো অব্যাহত রাখতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য আরো বিভিন্ন পরিকল্পনা সেটাও নিতে হবে এবং আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।



  
  সর্বশেষ
16 new Covid cases reported in country
Japan to provide 2,294 m Japanese Yen to Bangladesh; deals signed
China wants to import jute goods from Bangladesh
Donald Lu lauds Bangladeshi Americans for building foundation of ties between two countries

Chief Advisor: Md. Tajul Islam,
Editor & Publisher Fatima Islam Tania and Printed from Bismillah Printing Press,
219, Fakirapul, Dhaka-1000.
Editorial Office: 167 Eden Complex, Motijheel, Dhaka-1000.
Phone: 02-224401310, Mobile: 01720090514, E-mail: muslimtimes19@gmail.com