Wednesday 24th of April 2024
|
|
|
Headlines : * Bangladesh requires US$ 534b to address climate change impact by 2050: Saber   * Severe heat wave sweeping parts of country   * Bangladesh, Qatar sign 5 agreements, 5 MoUs   * Malaysian navy helicopters collide in mid-air, 10 killed   * 4 family members killed as bus ran them over in Cumilla   * PM warmly welcomes Qatar’s Amir at her office   * One killed as roof of bus ripped off after crashing into tree in Sirajganj   * No respite from scorching heat for 5 days: BMD   * BSF kills Bangladeshi youth in B`baria   * Heatwave alert extended for 3 more days  

   Bangladesh
গ্রেপ্তার হওয়া রাজনের হ্যান্ডকাফ পরা লাশ মিললো ছাতকে
  Date : 24-04-2024

হ্যান্ডকাফ সহ সুরমা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল সিলেটের রাজন। ঘটনার দুইদিন পর তার লাশ মিলেছে ছাতকে। হাতে সেই হ্যান্ডকাফ পরাই ছিল তার। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামির পলায়ন এবং হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় লাশ উদ্ধার নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেট পুলিশে। প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। অবশেষে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষের নির্দেশে পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তবে রাজনের মায়ের দাবি- হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় রাজন নদীতে পড়ে গেলে প্রাণ বাঁচাতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও সে পায়নি।

নদীতে পড়ার পরপরই বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। সিলেটের মাদক ব্যবসায়ী রাজনকে গত ২৭শে মে সন্ধ্যার পরপরই নগরীর মহাজনপট্রি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই হাবিবুর রহমান। টহলে থাকার সময় ৪টি ইয়াবা ট্যাবলয়েড সহ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এরপর তাকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে এনে রাখা হয়। সেখানে টাকার জন্য মারধর করা হয় রাজনকে। ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল আহমদ, এএসআই হাবিব কয়েকজন মিলে মারধরের পর রাজনের মোবাইলফোন থেকে তার মা রশিদা বেগমকে ফোন করা হয়। ওই সময় রাজন তার মাকে জানায়, ‘মা টাকা না দিলে পুলিশ মেরেই ফেলবে।’ টাকা নিয়ে দ্রুত আসার জন্য চাপ দেয়। এদিকে রাজন যে শাহপরান থানার অপর একটি মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সেটি জানতো না বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। এ কারণে টাকা দিলেই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে তারা জানিয়েও দেয়। এদিকে, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেষবারের মতো টাকার জন্য চাপ দিয়েও টাকা পায়নি ফাঁড়ি পুলিশ। এরপর ইয়াবা সহ তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করতে যাচ্ছিলেন এএসআই হাবিব। কোতোয়ালি থানার ফটকের সামনে পৌঁছামাত্র হঠাৎ করে পুলিশের হাত ফসকে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেয় রাজন। এ সময় তার হাতে পুলিশের হাতকড়া লাগানো ছিল।

এএসআই হাবিব তার খোঁজ করেও না পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিক অবগত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়াকে। কিন্তু ওসি সেলিম রাজন পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো দায়িত্ব নেননি বলে জানায় পুলিশের একটি সূত্র। ওই সময় ওসি জানান, থানা থেকে তো পালায়নি। সুতরাং বিষয়টির সম্পূর্ণ দায়িত্ব ফাঁড়ি ইনচার্জ কামাল ও এএসআই হাবিরের। প্রথমে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বও দেননি। তবে রাতে বিষয়টি ডিসি উত্তর আজবাহার আলী শেখকে জানানো হয়। খবর শুনেই রাতে থানায় ছুটে আসেন পুলিশের ডিসি আজবাহার। তিনি থানা এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরদিন বেলা ১১টায় তার কার্যালয়ে এসি, ওসি ও ফাঁড়ি ইনচার্জ ও এএসআই হাবিবকে তলব করেন। তারা ডিসি কার্যালয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি জানানো হয় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষকে। পরে তার নির্দেশে ২৮শে মে কোতোয়ালি থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন এএসআই হাবিবুর রহমান। মামলার এজাহারে তিনি রাজনকে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে রাজন সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেয়ার অনেক পরে জানা গেছে সে পলাতক আসামি ছিল। কোতোয়ালি থানায় অনুসন্ধান চালিয়ে ওয়ারেন্টের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। এদিকে ২৭শে মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল রাজন মিয়া। পরিবারের পক্ষ থেকে তার খোঁজ করা হলেও কোথাও পাওয়া যায়নি। বরং পুলিশের পক্ষ থেকে রাজনের পরিবারের মুখ বন্ধ রাখা হয়। ৩০শে মে দুপুরের দিকে ছাতকের সুরমা নদীতে করিমের বাড়ির সামনে থেকে হ্যান্ডকাফ পরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দিনের লাশে পচন ধরেছিলো। চেনাই যাচ্ছিল না। ‘তার বার্তার’ মাধ্যমে সিলেট পুলিশের কাছে বার্তা পাঠায় ছাতক পুলিশ। হ্যান্ডকাফ পরা লাশ শুনেই চমকে উঠেন সবাই। তাহলে কী রাজনের লাশ- প্রশ্ন উঠে সিলেটে। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ মর্গে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা রাজনের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ছাতক থানায় আরো একটি মামলা হয়েছে। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, আসামি পালিয়ে যাওয়ার পরপরই আমরা সুরমা নদীতে তার অনুসন্ধান করেছি। কিন্তু পাই নি। স্থানীয় বালু শ্রমিকরা পানিতে নেমে তার খোঁজ করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এএসআই হাবিবুর রহমান, পুলিশ কনস্টেবল খালেদুর রহমান ও মোস্তাককে ৩০শে মে ডিসি উত্তর আজবাহার শেখ ক্লোজ করেছেন। এরপর একজন এডিসির নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্য কমিটি তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে গাফিলতির বিষয়টিও প্রমাণ পেয়েছে।

এদিকে, পুলিশের ডিসি আজবাহার শেখ এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি তাদের ক্লোজ করা পত্রে উল্লেখ করেছেন- প্রশাসনিক কারণে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে।’ আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি গোপন রাখেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেট পুলিশে। এদিকে গতকাল মানবজমিনের কাছে রাজনের মা রশিদা বেগম জানিয়েছেন, তার ছেলে সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হয়। এরপর বন্দরবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ টাকার জন্য তাকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় রাজনের মোবাইল ফোন দিয়ে পুলিশ একবার কথা বলায়। এরপর থেকে ফোন বন্ধ ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, রাজন সুরমা নদীতে লাফ দিয়ে পড়ার পরপরই প্রাণ বাঁচাতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পায়নি। যে কারণে রাজন পানিতে ডুবে মারা যায়।



  
  সর্বশেষ
Indonesia commission formally declares Prabowo next president
Bangladesh requires US$ 534b to address climate change impact by 2050: Saber
Depositors deposit in merged banks will remain completely safe: BB
PM leaves for Bangkok tomorrow morning

Chief Advisor: Md. Tajul Islam,
Editor & Publisher Fatima Islam Tania and Printed from Bismillah Printing Press,
219, Fakirapul, Dhaka-1000.
Editorial Office: 167 Eden Complex, Motijheel, Dhaka-1000.
Phone: 02-224401310, Mobile: 01720090514, E-mail: muslimtimes19@gmail.com